প্রতারণার মাধ্যমে করেছেন অর্থ আত্মসাৎ! এই অভিযোগের জেরে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে চলচ্চিত্র নায়িকা হিসেবে পরিচয়দানকারী জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীনকে।
অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২৯ আগস্ট ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম কর্তৃক তার বিরুদ্ধে রায়টি দেওয়া হয়। দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় দুই বছর ও ৪০৬ ধারায় এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। পাশাপাশি জেবাকে গুনতে হবে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। কিন্তু আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
আরও জানা যায়, জেবা যেহেতু পলাতক, সেহেতু তাকে গ্রেপ্তার করা হলে কিংবা আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে সেই সময় থেকে রায়টির কার্যকারিতা শুরু হবে।
উল্লেখ্য যে, মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মামলার বাদী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য মাহবুব হাসান রানার কাছে জেবা একটি প্রাইভেট কার বিক্রি করেন ৭ লাখ টাকায়। ২০২২ সালের ২০ মার্চ জেবা একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে বুঝে নেন সব টাকা। কিন্তু গাড়ির কাগজপত্র নবায়ন করা না থাকায় তখন তিনি হস্তান্তর করেননি গাড়িটি। চুক্তিপত্রে বলা হয়েছিল বিআরটিএ থেকে সমস্ত কাগজপত্র ঠিক করে ১৫ দিনের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে সেই গাড়ি। কিন্তু বাদীর টাকা নিয়ে চুক্তি অনুযায়ী করা হয়নি কাজ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৮ মে বাদী প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে মুক্তি পান জেবা। কিন্ত পরবর্তীতে আদালতে হাজিরা দিতে আসেননি তিনি। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৮ জুন আদালতে গঠন করা হয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ।