প্রাক্তন স্বামী ব্র্যাড পিটের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বিচার চেয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অবশেষে সব অভিযোগ তুলে নিলেন জোলি।
এনডিটিভি’র তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় পিট ও জোলির। কিন্তু এরপরও পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা চলে আসছিল। সন্তানের দায়িত্ব, সম্পত্তির মালিকানা ও মানহানির অভিযোগে বারবারই সংবাদের শিরোনাম হচ্ছিলেন হলিউডের প্রাক্তন এই দম্পতি। শেষমেশ ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে পিটের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি।
এফবিআই’র কাছে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল- ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট জেটে চড়ে সন্তানদের নিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন পিট ও জোলি। ফেরার পথে দুজনের তর্ক হয়। একপর্যায়ে জোলিকে ধাক্কা দেন পিট, পাশাপাশি তার মাথা ধরে ঝাঁকান। বাচ্চাদের ওপরও চড়াও হয়েছিলেন পিট। এক বাচ্চার গলাও চেপে ধরেন পিট। আর অন্যজনের মুখ চেপে ধরেন। এছাড়া জোলি ও সন্তানদের গায়ে মদ ছুড়ে মেরেছিলেন অভিনেতা।
জোলির এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই ও লস অ্যাঞ্জেলেস কান্ট্রি ডিপার্টমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি সার্ভিসেস। একই বছরের নভেম্বর মাসে এফবিআই’র এক মুখপাত্র থেকে জানা যায়, এ ঘটনায় পিটের কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাননি তারা। ফলে অভিনেতার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না। পরবর্তীতে ২০২২ সালে এ তদন্তের নথি খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছিলেন জোলি। অবশেষে ২০২৪ সালে এসে সেই অভিযোগ তুলে নিলেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সিনেমায় কাজ করার সময় কাছাকাছি আসেন ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এরপর দীর্ঘ ১০ বছর প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৪ সালে বিয়ে করেন এ জুটি। তবে বিয়ের মাত্র দুই বছর পরই বিচ্ছেদের পথ বেঁছে নেন তারা।