ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়েই চলছিল চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমণির দাম্পত্য জীবন। কিন্তু এবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেলো পরীর। বিচ্ছেদের পথ বেঁছে নিয়ে রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠালেন তিনি!
পরীমণির পারিবারিক একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর স্বামী রাজের উদ্দেশে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান এই নায়িকা। নোটিশের সেই কপিও পাওয়া গেছে। যদিও তালাকের বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো অফিশিয়াল বক্তব্য আসেনি পরী বা রাজ কারো কাছ থেকে।
কিন্তু হঠাৎ কেন এখন ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিলেন পরী? এই দম্পতির সম্পর্কের টানাপোড়েন তো নতুন কিছু নয়! এর আগেও বহুবার খবর রটে এই দুই তারকার সংসার ভাঙনের ব্যাপারে। খবর রটলেও পরে আর তার আনুষ্ঠানিকতা মেলেনি কখনো। তবে এবারের খবর একদম পাক্কা!
তালাকের নোটিশে নায়িকা ডিভোর্সের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া, আর মানসিক অশান্তির বিষয়গুলো।
বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠানোর ঠিক আগের দিন পরীমণি তার অফিশিয়াল ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করে লিখেছিলেন, “কালকের দিনটা আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন! একটি… (স্বাক্ষরের ইমোটিকন) আল্লাহ ভরসা।”
এই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি তার দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ইঙ্গিত দিলেন কিনা তা নিয়ে যখন ভাবতে শুরু করেন ভক্ত ও অনুরাগীরা, ঠিক তার পরদিনই ফেসবুকে ‘ডোডোর গল্প’ শীর্ষক সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অনুষ্ঠানের স্থিরচিত্র পোস্ট করায় সবাই ভাবেন এই সিনেমায় স্বাক্ষর গ্রহণের অনুষ্ঠানের কারণে পরী করেছিলেন আগের পোস্টটি। কিন্তু না, ডিভোর্স লেটারের কপি পাওয়ার পর আবারও ভাবার পালা, তাহলে তো রাজের সাথে সংসারের ইতি টানা নিয়েই ছিল ঐ পোস্ট।
তবে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ দিনের কথা জানিয়ে স্বাক্ষরের ইমোটিকনসহ একটি পোস্টিই শেয়ার করেননি পরী। পরবর্তীতে অন্য স্ট্যাটাসও শেয়ার করেছিলেন এই অভিনেত্রী। যা ছিল ডিভোর্স লেটার পাঠানোর আগে ঘটে যাওয়া একটি অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে। ১৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৪টার দিকে রাজের বিরুদ্ধে কথা বলে স্ট্যাটাসটি শেয়ার করে কিছুক্ষনের মাঝে আবার তা ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেন অভিনেত্রী। যদিও ততক্ষনে সেই পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে ফেলেন অনেকেই। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
কি লিখেছিলেন পরী তার স্ট্যাটাসে? তিনি লিখেছিলেন, “ধরেন এই কাজটা আমি যদি করতাম। একজনকে ভাই পরিচয় দিয়ে তার বাসায় যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে মাসের পর মাস পার করে দিতাম। কি বলতেন আমাকে তখন? আজ আমাকে রাজ এবং তার পাতানো বোন মিলে গায়ে হাত তুলেছে। তার জবাব মিডিয়া দিতে পারবেন তো?”
স্ট্যাটাসে পরী আরও যোগ করেন, “রাজ কার সঙ্গে থাকে? সুগার মমি নাকি কোনো অনৈতিক ব্যবসায়িক চক্র? কী চলে মহানগর প্রোজেক্টে তাদের ওই বাসা নামক অপকর্মের আস্তানায়? প্রশাসন, মিডিয়া যারা আছেন বের করেন এবার! অনেক কথা বলার বাকি! এত চুপ থাকা যায় না।”
এই বিস্ফোরক স্ট্যাটাস ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিলেও, মন থেকে একের পর এক ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো সরিয়ে নিতে পারেননি ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা। ফলশ্রুতিতে রাজকে অবশেষে তালাকের নোটিশ পাঠান পরীমণি।