চুক্তি করা হয়েছিল ৪০ লাখ টাকার। কিন্তু সঙ্গে আরও চাচ্ছেন ৬০ লাখ টাকা! চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত কমিটমেন্ট ঠিক না রেখে অতিরিক্ত টাকা দাবি করার অভিযোগ তুলেছেন পরিচালক বদিউল আলম খোকন।
‘নীল দরিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল শাকিবের। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন বদিউল। ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় চূড়ান্ত করা হয় ৪০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক। ছয় মাস আগেই তা অভিনেতাকে অগ্রিম প্রদান করা হয়। কিন্তু ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার সাফল্যের পর শাকিব বাড়িয়ে দেন তার পারিশ্রমিক। বর্তমানে ছবি প্রতি তিনি চাইছেন ১ কোটি টাকা। ফলশ্রুতিতে, আটকে গেছে ‘নীল দরিয়া’ সিনেমার কাজ।
জানা যায়, কয়েক মাস আগেও এই চিত্রনায়কের পারিশ্রমিক ছিল ৩৫-৫০ লাখ টাকার মধ্যে। বদিউল গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটির জন্য শাকিবের আরও ৬০ লাখ টাকার দাবি মেনে নেয়নি এই ছবির প্রযোজক। তাই অগ্রিম নেওয়া ৪০ লাখ টাকা ফেরত দেন ‘প্রিয়তমা’ খ্যাত এই নায়ক।
পরিচালক আরও জানান, “২০ জুলাই থেকে শুটিংয়ের শিডিউল দিয়েছিলেন শাকিব। সবকিছু চূড়ান্ত ছিল, পুরো টাকা অগ্রিম পরিশোধের পর শুটিংয়ের সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তারপর হঠাৎ করেই অভিনয়ে অসম্মতি জানান শাকিব খান। ঈদুল আজহার জন্য ‘প্রিয়তমা’র পর এই ছবি করবেন। পরিচালক মেনে নিলেন শাকিবের কথা। এরপর হিট হয়ে গেল ‘প্রিয়তমা’। মত পাল্টে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিলেন শাকিব।“
আফসোস করে পরিচালক যোগ করেন, সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় শাকিবের যে পারিশ্রমিক ছিল, সেটি দিয়েই তাকে চূড়ান্ত করা হয়েছিল। নতুন কোন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হলে সেই সিনেমার জন্য তিনি এক কোটি বা দুই কোটি টাকা সে নিতেই পারেন। তবে তাদের সাথে পূর্ব নির্ধারিত চুক্তির বাইরে আরও ৬০ লাখ টাকা দাবি করা অভিনেতার কমিটমেন্ট বিষয়ক নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না।
উল্লেখ্য যে, নির্মাতা বদিউলের সাথে শাকিবের ডজনখানেক হিট সিনেমায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ‘নাম্বার ওয়ান শাকিব খান’, ‘বস নাম্বার ওয়ান’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘ডন নম্বর ওয়ান’, ‘হিরো: দ্য সুপারস্টার’, ও ‘রাজা বাবু’ সেসব হিট ছবিগুলোর অন্তর্ভুক্ত।